Click to xXx videos

শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ইতিহাস।

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর যুব অঙ্গসংগঠন।[] জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে ১৯৭৮ সালের ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নামে বিএনপির যুব সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক আবুল কাশেম যিনি পরবর্তীতে সভাপতি এবং সাইফুর রহমান প্রথম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৭ সালের ২৩ মার্চ দ্বিতীয়, ১৯৯৩ সালের ৮ অক্টোবর তৃতীয়, ২০০২ সালে চতুর্থ, ২০১০ সালের ১ মার্চ পঞ্চম এবং ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি সংগঠনটির সর্বশেষ ষষ্ঠ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।[] বর্তমানে সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও নুরুল ইসলাম নয়ন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।[] যুবদলের প্রধান কার্যালয় নতুন পল্টন, ঢাকায় অবস্থিত।

নেতৃত্ব

১৯৭৮ সালে আবুল কাশেমকে আহ্বায়ক করে যুবদলের কমিটি গঠন করা হয়। এর পর আবুল কাশেমকে সভাপতি ও সাইফুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়।

১৯৮৭ সালের ২৩ মার্চ যুব্দলের কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন মির্জা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

১৯৯৩ সালের ৮ অক্টোবর কাউন্সিলে তারা আবারো নির্বাচিত হন।

২০০২ সালে যুবদলের কাউন্সিলে বরকত উল্লাহ বুলু সভাপতি ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

২০১০ সালের ১ মার্চ সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সাইফুল আলম নীরব যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হন।

২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন ও ২ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মওলা শাহিন এর কমিটি অনুমোদিত হয়।

২০২৪ সালের ৯ জুলাই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কমিটিতে আব্দুল মোনায়েম মুন্নাকে সভাপতি ও নুরুল ইসলাম নয়নকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পদায়ন করা হয়।

এ ছাড়া রেজাউল করিম পলকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বিল্লাল হোসেন তারেককে ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কামরুজ্জামান জুয়েলকে সাংগঠনিক সম্পাদক, নুরুল ইসলাম সোহেলকে দফতর সম্পাদক করা হয়েছে।[]


বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪

সরকার কি চাইলে এখন রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দিতে পারে?

 
সরকার কি চাইলে এখন রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দিতে পারে?

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মন্তব্যের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের অনেকেই তার বিদায় চাইলেও আইন ও সংবিধান অনুযায়ী তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার সুযোগ আছে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছে।  একই সঙ্গে তারা অবশ্য বলছেন যে, গণঅভ্যুত্থানের পর ‘আইন ও সংবিধানের’ বিষয়টিই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। ফলে ‘জনআকাঙ্ক্ষার' আলোকে রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে অন্য কাউকে সে পদে বসাতে চাইলেও’ সেটি অসম্ভবও কিছু নয়। যদিও সরকার পরিবর্তনের পর দেশের সংবিধান স্থগিত করা হয়নি।  অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রপতির তীব্র সমালোচনা করলেও ‘তার পদত্যাগ কিংবা অপসারণের’ দাবির প্রশ্নে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।  বিএনপি দলীয়ভাবে সিনিয়র নেতাদের এ বিষয়ে বিচ্ছিন্নভাবে মন্তব্য না করার পরামর্শ দিয়েছে আর জামায়াতে ইসলামী শুধু বলেছে ‘রাষ্ট্রপতি অসত্য বক্তব্য দিয়ে ওই পদে থাকার অধিকার হারিয়েছেন’। যদিও উভয় দলের নেতাদের কাছে বিবিসির প্রশ্ন ছিল যে ‘রাষ্ট্রপতি সরে যাক এটি তারা চান কি-না’।  প্রসঙ্গত, দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী তার লেখা এক রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন যে রাষ্ট্রপতি তাকে বলেছেন ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোন দালিলিক প্রমাণ তার হাতে নেই’।  তার এ বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় মিছিল-সমাবেশ করে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা।  সামাজিক মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার সমর্থক ও আওয়ামী লীগ বিরোধীরা রাষ্ট্রপতির তীব্র সমালোচনা করে তার পদত্যাগ কিংবা তাকে সরিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছে।  গত পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর প্রথমে সেনাপ্রধান ও পরে রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছিলেন।  সোমবারের বিতর্কের পর বঙ্গভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়েছে -'মীমাংসিত বিষয়ে নতুন করে কোন বিতর্ক সৃষ্টি না করার জন্য,' রাষ্ট্রপতি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।  এখানে বলে রাখা দরকার, বাংলাদেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া কিংবা বিদায় নেয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়।  ১৯৭৫ সালের পনেরই অগাস্ট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার ঘটনার পর নিজেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ।  ওই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের সমর্থন নিয়ে ১৯৭৫ সালের ২০শে আগস্ট খন্দকার মোশতাক সামরিক আইন জারি করে নিজেই প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব নিলেন। ‌এরপর তিনি নিজেই নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিলেন।  তেসরা নভেম্বরের সামরিক অভ্যুত্থানের মুখে খন্দকার মোশতাক আহমদ ৫ই নভেম্বর রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। সেদিনই সামরিক অফিসারদের অনুরোধে নতুন রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি আবুসাদাত মোহাম্মদ সায়েম।  ১৯৭৭ সালের ২১শে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জিয়াউর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করেন বিচারপতি সায়েম।  অন্যদিকে প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন সাবেক সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। ওইদিন প্রথমে পদত্যাগ করেছিলেন তখনকার ভাইস প্রেসিডেন্ট মওদুদ আহমেদ।  এরপর জেনারেল এরশাদ বিচারপতি সাহাবুদ্দিনকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ করেন এবং নিজে পদত্যাগ করেন। এরপর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন।

রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪

টাংগাইলের কালিহাতী উপজেলাধীন পৌজান গ্রামে এক ভয়াবহ ডাকাতি, গৃহকর্তীর শ্বাসনালী কর্তন।

 

টাংগাইলের কালিহাতী উপজেলাধীন পৌজান গ্রামের কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ টোকাই নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাতা, বহু অভিনেতা তৈরির কারিগর ও বিশিষ্ট অভিনেতা এবং পরিচালক Mahadi Hasan Saju এর বাসায় ২০/১০/২০২৪ তারিখ (শনিবার দিবাগত) রাত ১টার দিকে নিজ বাড়িতে এক দূরদর্শ ডাকাতি হয়, সেসময় ডাকাতেরা তার স্ত্রীর শ্বাসনালী কেটে দেয়। উনার স্ত্রী এখন হাসপাতালে মৃত্যু শয্যা অবস্থায় আছেন।


মেহেদী হাসান সাজুর ফেসবুক আইডি https://www.facebook.com/Sajumahadi?mibextid=ZbWKwL

ছিনতাই/ডাকাতি বেড়ে যাওয়া অবশ্যই চিন্তার বিষয়, তবে তার চাইতেও চিন্তার বিষয় তার পোস্টে বিপরীত মতাদর্শের মানুষদের কমেন্ট! একেকটা কমেন্টের শ্রী দেখলে যে কোনো বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ লজ্জা পেতে বাধ্য! সাজু মেহেদী তার ফেসবুক প্রফাইল প্রোফাইল পিকচার লাল করেছিলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাঠ পর্যায়ের কর্মী ছিলেন এই হচ্ছে তার অপরাধ! একজন ব্যক্তির বাসায় ডাকাত পড়েছে, তার সহধর্মিণী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন... কোথায় লোকজন তার কি লাগবে না লাগবে সেটা দেখবে, নিদেনপক্ষে সান্ত্বনা দিবে... কিন্তু না, কিছু লোককে দেখলাম তাকে খুঁচিয়ে মজা পাচ্ছে! 

আমরা কালিহাতী বাসী এই নৃশংস ডাকাতি ককর্মকাণ্ডের নিরোসন চাই, যেনো এই সাজু মেহেদীর মতো ২য় কেউ দূরদর্শ নৃশংস ডাকাতির কবলে না পড়ে। 

মূল পোস্টের লিঙ্ক কমেন্টে দেয়া হলো।

সাহস থাকলে বিচারের সম্মুখীন হোন। হাসিনাকে অ্যাটর্নি জেনারেল


সাহস থাকলে বিচারের সম্মুখীন হোন। হাসিনাকে অ্যাটর্নি জেনারেল

সূত্র: United News Of Bangladesh 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহস থাকলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি হতে বাংলাদেশে ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান। 

রোববার শেখ হাসিনার নিজের কথা উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সাহস থাকলে বাংলাদেশে ফিরে আসুন এবং আদালতে বিচারের মুখোমুখি হন।

প্রথম আলো পত্রিকা 

সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতিদের অপসারণের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কর্তৃত্ব পুনরুজ্জীবিত করার পরে এবং সংবিধানের 16 তম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণাকারী একটি রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের আবেদন খারিজ করার পরে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। তিনি আশা করেছিলেন যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তার বিশ্বাসের প্রতি সত্য থাকবেন, জোর দিয়েছিলেন যে ফিরে আসা এবং বিচারের মুখোমুখি হওয়া তার সর্বোত্তম স্বার্থে হবে। হাসিনার সম্ভাব্য প্রত্যর্পণের বিষয়ে, আসাদুজ্জামান ব্যাখ্যা করেছিলেন যে যদি বর্তমানে তাকে আশ্রয় প্রদানকারী দেশের সাথে বাংলাদেশের একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকে তবে তাকে সেই চুক্তির অধীনে ফেরত দেওয়া যেতে পারে, কারণ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে তার আয়োজক দেশের আইনি বিধানের উপর নির্ভর করে ইন্টারপোলের কাছ থেকে সহায়তা চাওয়া যেতে পারে, উল্লেখ করে যে পরিস্থিতি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মোকাবেলা করা উচিত। ১৭ অক্টোবর, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গণহত্যা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনসহ দুটি অপরাধে হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

তাদের ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই উন্নয়নটি জুলাই এবং আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের সময় "গণহত্যা" নিয়ে বিচারের সূচনা করে যা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিকে পরিচালিত করে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান।